লকডাউনে কাজ না থাকায় বিপাকে ময়মনসিংহের বস্তিবাসী ও খেটে খাওয়া মানুষ। সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো সহায়তা পাননি বলেও জানিয়েছেন তারা। এদিকে অসহায় ও কর্মহীনদের সহায়তা দিতে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানালেন সিটি মেয়র। পাশাপাশি বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ময়মনসিংহের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাড়ী কলোনীর পারভিন আক্তার। নিজের গৃহকর্মীর কাজ আর স্বামী বাবুল হোসেনের ভ্যান চালানোর আয়ে চলে তাদের সংসার। লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে গৃহকর্মীর কাজ। স্বামীও ভ্যান চালাতে পারছেন না। এ অবস্থায় সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পারভিন।
গৃহকর্মী পারভিন আক্তার জানান, বাসাবাড়ির কাজ বন্ধ, তার মধ্যে আমার বিধবা মেয়েটাও আমার কাছে। আমাদের কোন উপায় নেই। এখন আমরা কিভাবে চলবো।
শুধু পারভিন নয়, একই অবস্থা বস্তিবাসী ও খেটে খাওয়া মানুষের। জমানো টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় কিভাবে চলবে সংসার, এই নিয়ে চিন্তিত তারা। এসব মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
বস্তিবাসীরা জানান, আগের লকডাউনে কিছু দিয়েছিল, এবার তো কেউ কিছুই সাহায্য করছে না। আমরা গরীব মানুষ, কোনভাবে চলছি।
১৩নং নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমেও গরীব-দুঃখীরা কিছু পাচ্ছে না। সামনে অন্ততপক্ষে দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে যেন বাঁচতে পারে এ ব্যাপারে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
ময়মনসিংহ সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, কিছু শ্রেণী হয়তোবা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের একটি প্রাথমিক তালিকা করে রাখার জন্য আমাদের কাউন্সিলদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি।
তবে কর্মহীনদের সহায়তায় তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানালেন সিটি মেয়র। শুধু আশ্বাস নয়, সরকার ও সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন, এমনটাই প্রত্যাশা কর্মহীন ও অসহায় মানুষের।[source:একুশে tv]