সাত দিনের কাজ দুই ঘণ্টায় শেষ করতে বাধ্য হওয়ার পর মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপন, লকডাউনে চলবে লেনদেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা চলবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
পরপর দুই সপ্তাহের লকডাউনে দুই নির্দেশনাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষতার অভাব বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।চলতি বছরের দ্বিতীয় দফার লকডাউনে বন্দরসমূহ ও কাস্টমস সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ছাড়া সব শাখা বন্ধ থাকবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সার্কুলারে লকডাউনের আগের দিন ব্যাংকের শাখাগুলোতে উপচেপড়া ভিড় ছিল গ্রাহকদের। এতে সেবা দিতে অনেকটাই হিমশিম খেতে হয় কর্মকর্তাদের।
এক গ্রহক জানান, কয়েকদিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে, তাই ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলেছি।সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ঈদের সময়ে যে চাপ থাকে, তার থেকেও বেশি চাপ মনে হয়েছে এবার। এরইমধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় নতুন সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, লকডাউনে ব্যাংকগুলোর এডি শাখা, জেলা পর্যায়ের প্রধান, সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতি দুই কিলোমিটার ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের একটি করে শাখা খোলা রাখতে হবে।বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। আর দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে।এদিকে একদিনের ব্যবধানে একই লকডাউনে দেশব্যাপী ব্যাংক খোলা থাকার বিষয়ে দুই সার্কুলারে দুই নির্দেশনাকে অদক্ষতা মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।লকডাউনে রমজান মাস শুরু হওয়ায় গ্রাহকদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সময় বাড়ানো যায় কিনা, তা ভেবে দেখার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।