জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে চলমান ‘লকডাউন’ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের পরে ২০-২২ তারিখের দিকে সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পেতে পারে। এ দিক থেকে আমাদের পরিকল্পনা আছে ঈদের পরে আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ চলমান রাখা অন্তত। আর এর মধ্যে শতভাগ মাস্ক যেন আমরা পরাতে পারি সে ব্যবস্থা করা। আশা করি ১৬ তারিখের মধ্যে প্রজ্ঞাপন দিয়ে এগুলো জানাতে পারব।’
লকডাউন বাড়ানোর পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক নিশ্চিত করতে পুলিশকে নির্বাহী ক্ষমতা দেয়ার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের যেটা পরিকল্পনা অবশ্যই শতভাগ মাস্ক পরাতে হবে; বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও জেলা শহরগুলোতে যেখানে জনসমাগম বেশি হয় আর যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন আসে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনা আছে যে আমাদের যে আইনটি আছে সে আইনে কিছু সংশোধনী এনে পুলিশকে নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে আমাদের কিছু কাজ করা যায় কি না, এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছি আমরা। কারণ আমরা তো এভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখতে পারি না।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পাশ্ববর্তী দেশের যে অবস্থা, সেটিও কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। আমাদেরটা কমিয়েছি বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে এই যে মাস্ক না পরা, কিছুসংখ্যক লোকের বাড়িতে যাওয়া, এই বিষয়গুলো আমাদের ভাবাচ্ছে।’
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।
এর মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় কঠোর লকডাউন যা কয়েক দফা বাড়ানো হয়। সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ মে পর্যন্ত চলবে এ বিধিনিষেধ।
সূত্রঃ আমার সংবাদ