ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
লোকসানের কথা বলে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরই আবার লাভে ফিরেছে বাংলাদেশে প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। গত নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরপরই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবার পড়ে যায়। ডিসেম্বরজুড়েই জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে কি না সে বিষয়ে এখনও কোনও চিন্তাই করেনি জ্বালানি বিভাগ।
জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে এখনও আলোচনা হয়নি।
এর আগে সাবেক জ্বালানি সচিব মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছিলেন, সরকার ছয় মাস বাজার পর্যবেক্ষণ করে দাম বাড়িয়েছে। সরকার সেভাবে বাজার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে কতদিন ধরে বিশ্লেষণ করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
শনিবার বিশ্ববাজারে তেল বিক্রি হয়েছে ৭২ দশমিক ৭৬ ডলারে। বাজার পরিস্থিতি বলছে আগামী বছরও তেলের বাজারে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে না। বছরের মধ্যভাগে কিছুটা বাড়লেও চলতি বছর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম থাকবে ৬৬ দশমিক ৯১ ডলার। আগামী বছর হবে ৬৫ দশমিক ৯৩ ডলার। পরের বছর কিছুটা কমে ৬৩ দশমিক ৪ ডলার এবং এর পরের বছর ৬০ দশমিক ৯৫ ডলারে দাঁড়াবে।
করোনার কারণে বিশ্ববাজার কিছুটা এলোমেলো হলেও সাধারণত তেলের দামের পূর্বাভাসে নড়চড় হয় না। অর্থাৎ, এখন দাম কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও বিপিসিকে লোকসান দিতে হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
বিপিসি আনুষ্ঠানিকভাবে না বললেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, ৭৬ ডলারে তেল কিনলে বিপিসির লোকসান হয় না। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে এ দর বদলায়।
তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে এর আগে জ্বালানি সচিব একটি সেমিনারে উল্লেখ করেছিলেন। আমলাদের সিদ্ধান্তে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সমালোচনার জবাবে তিনি এ কথা বলেছিলেন।
সরকার জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ঘোষণা গত ৪ নভেম্বর জানিয়েছিল। মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয় ডিজেল ও কেরোসিনের নতুন দাম। লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করা হয়। সে সময় মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান।