আসন্ন রমজান উপলক্ষে লেবুর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারে এক হালি লেবুর দাম ৮০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। সে হিসাবে একটি লেবুর দাম ২০ টাকা।
কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী জানান, গত সপ্তাহে লেবুর দাম ছিল ১০০ টাকা। আজ (শুক্রবার) ৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লেবু কম। এ জন্য দাম বেশি। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে লেবু কিনতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হালি দেশি লেবু ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একটি লেবুর দাম ২০ টাকা। তবে কাগজি লেবুর দাম কম। এই জাতের এক হালি লেবুর দাম ৫০ টাকা।
ভিটামিন ‘সি’-এর সবচেয়ে সহজলভ্য উৎস হচ্ছে লেবু। লেবু খুব সহজেই এবং সব মৌসুমেই পাওয়া যায়। করোনার সময় চিকিৎসকরাও প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই লেবু রাখার তাগিদ দিচ্ছেন। কারণ, লেবুর মাধ্যমে ভিটামিন ‘সি’ চাহিদার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব। কিন্তু তবু সবার পক্ষে লেবু খাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। কারণ, খাবারের তালিকায় অতি প্রয়োজনীয় সেই লেবুর বাজার এখন চড়া।
বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান বাজারে সবচেয়ে উচ্চমূল্য হচ্ছে লেবুর। যে কয়টি দোকানে লেবু আছে সেগুলো অতি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের দেশি লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লেবু কিনতে আসা চাকুরীজীবী হেলাল আহমদ জানান, যে লেবু আগে পনের থেকে বিশ টাকা হালি বিক্রি হয়েছে, সেই লেবু আশি টাকায় কিনতে হচ্ছে। আরিফ নামে আরেক ক্রেতা জানান, ‘আমার বায়ান্ন বছরের জীবনে লেবুর এতো দাম দেখিনি। এত দামের পরও বাজারে লেবুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এখন বাজারে যে পরিমাণ লেবুর চাহিদা রয়েছে সে পরিমাণ উৎপাদন নেই। তাই বর্তমানে দাম বাড়তি। যতদিন আবহাওয়া গরম থাকবে ততদিন লেবু’র দামও চড়া থাকবে। তবে ভালভাবে বৃষ্টি আরম্ভ হলে এ দাম অর্ধেকে নেমে আসবে। অন্যদিকে করোনাসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লেবু খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।