অনলাইন ডেস্ক: লে-অফ ঘোষণা করা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা মজুরি পরিশোধের জন্য সরকারের ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে কোনো সহায়তা পাবে না। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংককে এক চিঠিতে এসব কথা জানা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরো বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান ৮০ শতাংশের বেশি পণ্য সরাসরি রপ্তানি করে, তাদের ঋণপত্র বা এলসি পরীক্ষা সাপেক্ষে শুধুমাত্র শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবে।
করোনাভাইরাসের কারনে গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। পরে ৫ এপ্রিল নতুন করে আরও চারটি প্যাকেজে মোট ৬৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের ঘোষণা আসে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তহবিল গঠনের নির্দেশনা দিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ এপ্রিল একটি নীতিমালা জারি করে। নীতিমালায় বলা হয়, সচল কারখানা এপ্রিল, মে ও জুন মাসের শ্রমিকের মজুরি দিতে তহবিল থেকে ঋণ পাবে। যেসব কারখানা গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের শ্রমিকের মজুরি নিয়মিত দিয়েছে, তারাই কেবল সচল প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঋণ পাবে।এজন্য ব্যাংক কোনো সুদ নেবে না। আর এসব ঋণের টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক ২ বছর সময় দেবে। প্রতিষ্ঠানকে প্রথম ৬ মাস ঋণ পরিশোধে করতে হবে না।আর পরের ১৮ মাসে ১৮ কিস্তিতে টাকা শোধ দিতে হবে।
সরকার আর্থিক সহায়তা ঘোষণার পরেও অনেক পোশাকশিল্প মালিকেরা গণহারে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করতে শুরু করেন। এতে করে যেসব শ্রমিকের চাকরির বয়স এক বছরের কম, তাঁরা লে-অফ কালীন কোনো মজুরি পাবেন না। তবে অন্যারা অর্ধেক মজুরি ও বাড়ি ভাড়া পাবেন।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে জারি করে জানায়, সচল রপ্তানিমুখী কারখানার শ্রমিকদের মজুরি দিতে গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল থেকে কোনোভাবেই কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়া যাবে না।