ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: শপথ নিয়েছেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) পূর্ব-নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। পরে নিয়ম অনুযায়ী শপথনামায় স্বাক্ষর করেন নতুন প্রধান বিচারপতি। শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করমর্দন না করে তারা কনুইয়ে কনুই ছুঁয়ে এলবো বাম্প করেন।
শপথ অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে নির্ধারিত পোশাক ও উইগ পরে দরবার হলে প্রবেশ করেন নতুন প্রধান বিচারপতি। তার কিছুক্ষণ পর রাষ্ট্রপ্রধান আবদুল হামিদ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা একসঙ্গে সেখানে প্রবেশ করেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ওই দিন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ার।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। তিনি জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আব্দুল গফুর মোল্লা। ১৯৭২ সালে তিনি খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। আইএসসি পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে।
১৯৮১ সালে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। তাঁর ভাই বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকীও আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। এ বছর তিনি অবসরে গেছেন।