নওগাঁর ধামইরহাটে শসা চাষীদের মাঝে তৃপ্তির হাসি। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় নড়াইলে দিন দিন শশার আবাদ বাড়ছে। অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশী হওয়ায় শশা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এখানকার কৃষকেরা। শশা চাষ করে এখানকার কৃষকরা পেয়েছেন আর্থিক সচ্ছলতা। শসার দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,চলতি বছরে ধামইরহাট উপজেলায় ২শত ৩৫ হেক্টর জমিতে শসা চাষ হয়েছে। অধিকাংশ শসা উপজেলার পলিমাটি এলাকা হিসেবে পরিচিত ইসবপুর ও জাহানপুর ইউনিয়নে। বীজ বপন থেকে মাত্র দুই মাসের মধ্যে শসা পাওয়া যায়। শসা চাষ করতে খরচ তেমন হয় না বললেই চলে। পোকা মাড়কের আক্রমণ থাকলেও সঠিক সময়ে ঔষধ প্রয়োগ করতে পারলে ফসলের তেমন ক্ষতি হয় না।
আকদিয়া গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ধান বা পাট চাষে লাভ হয়না লোকসান হয়। পাট বা ধানের তুলনায় শসা চাষে ৩-৪ গুণ বেশী লাভ হয় বলে আমরা শশা চাষ করি। তিনি আরও বলেন, পাইকারি প্রতিকেজি শশা বর্তমানে ৩০-৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
যশোর থেকে আসা পাইকারি শশা ক্রেতা আব্দুল্লাহ বলেন, এখানকার শশা কিনে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে পাইকারি প্রতিমণ শশা ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা করে কিনে নিয়ে আমরা ১৭০০ থেকে ১৮০০ পর্যন্তু বিক্রি করি এতে আমাদের ভালো লাভ হয়।
নড়াইল সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে শশার আবাদ হয়েছে। অনান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক শশা চাষে আগ্রহী হচ্ছে এখান কার কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।