করোনা সংক্রমণের কারণে প্রায় দুই বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সীমিত আকারে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক চাপ তৈরি হওয়ায় দুই মাসের মধ্যে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন না করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
সম্প্রতি প্রকাশিত মাউশির গাইডলাইনে দেখা গেছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান পরিচালনা বিধিমালার মধ্যে ১৯টি নির্দেশনা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে কোনো ধরনের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা যাবে না।
এছাড়াও প্রথম এক বা দুই সপ্তাহ পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিখনের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও সে বিষয়ে প্রত্যেক শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষকদের জানানোর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও স্কুল খোলার পর অ্যাসেম্বলি না করতে নির্দেশ দিলেও সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ক্লাসের শুরুতে শ্রেণিশিক্ষক পাঁচ মিনিট মোটিভেশনাল ব্রিফিং দেবেন। যেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি, শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোঁয়ার সঠিক নিয়ম, মাস্ক পরার নিয়ম, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, কফ ও থুথু ফেলার শিষ্টাচার ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলবেন।
শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার জন্য উৎসাহী করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম কয়েকদিন (একাধিক শিফটে বা একাধিক দিনে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনা হলে) স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে স্বাগত জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্কুল খুলে পরীক্ষা-মূল্যায়ন করা হলে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ তৈরি হবে। এমনিতে তারা পরীক্ষার কথা শুনলেই এক ধরনের চাপ অনুভব করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এমন চাপে পড়ুক সেটা আমরা চাই না। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর দুই মাসের মধ্যে কোনো পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য আমরা পরামর্শ দেয়া হয়েছে।