জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর স্মরণসভায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশে করোনা মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দেশের অভিভাবক,নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিষয়ে ঝুঁকি নেওয়া হবে না ।
ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে আমরা যে তারিখই ঘোষণা করি না কেন, অবস্থা অনুকূলে না এলে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেবো না এবং আমরা অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা চালু রেখেছি। যদিও এ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা আছে, তবুও আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। মনে রাখতে হবে এখন আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গুরুত্ব দিয়েই আমরা প্রায় এক বছর দুই মাসের বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখেছি। কিন্ত জাতীয় শিক্ষাকার্য্যক্রম চালু রেখেছি। ‘অনলাইনে পড়াশোনা চলছে। প্রতিদিনের অনলাইন পড়াশোনার মান এবং পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমরা সবাই এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। সারা পৃথিবীও অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা বারবার খোলার চেষ্টা করেছি, কিছুটা খুলেছি। আবার বাধ্য হয়ে বন্ধও করে দিয়েছি। যেখানে ষোলআনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব, সেখানে কিন্তু সেটি খুলে রাখেনি কেউ। আমরা অনেক পরিকল্পনা করেছি, কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়। আমাদের সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলে দেওয়া উচিত নয়। ঈদ যাত্রার কারণে সংক্রমণের হার আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বগামী। আমরা বলেছি ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে চাই। আমরা চেষ্টা করবো। অনেক জায়গা থেকে চাপ আছে, অনেক আন্দোলনের ডাক আছে। তবে সেটি বৃহত্তর ছাত্র সমাজ বা অভিভাবক যারা আছেন, তাদের মতামতের প্রতিফলন নয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুলে দিতে চাই। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। অবশ্যই করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। যখনই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলি না কেন, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলতে পারবো। তবে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সবার আগে বিবেচনা করা হবে।