ঢাকা, ১৮ জুন মঙ্গলবারঃ সমগ্র দেশজুড়েই খাদ্যে ভেজাল যেন অতি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনস্বাস্থ্যের প্রতি চূড়ান্ত হুমকি সৃষ্টি করেছে অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যে ভেজাল বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ার কারণেই দেশের আপামর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রাণঘাতী অসুখে। সবচেয়ে আতংক সৃষ্টিকারী বিষয় শিশুখাদ্যও ভেজাল ও রোগসৃষ্টিকারী রাসায়নিক থেকে মুক্ত নয়। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উচ্চ আদালত দিয়েছেন একাধিক নির্দেশনা।
কিছুটা বিলম্বে হলেও সাধারণ মানুষকে আশাবাদী করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক ঘোষণা। অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি বিশেষ তদারকি সেল গঠন করা হয়েছে, যারা আগামী সপ্তাহ থেকে মাঠে নামছে । জানা গেছে বিশেষভাবে গঠিত এই সেলে জনাব শাহরিয়ার ছাড়াও থাকছেন, সহকারী পরিচালক আতিয়া সুলতানা, আফরোজা রহমান, মাসুম আরিফিন,আবদুল জব্বার মণ্ডল, ইন্দ্রানী রায়, তাহমিনা আক্তার, রজবি নাহার রজনী ও মাগফুর রহমান।
গত দু’দিন আগে গঠিত বিশেষ তদারকি সেলের প্রতি আস্থা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সাধারণ মানুষ। ‘ভোক্তাকণ্ঠ কার্যালয়ে’, তদারকি সেল গঠনকে স্বাগত জানিয়ে ফোন করেছেন অনেকেই। বর্তমান সময়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ মানুষ নিজ সন্তানের মুখে অর্থ ব্যয় করে বিষ তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেকেই, একইসাথে উৎপাদন পরবর্তী সময়ে বাজারজাতকালীন সময়ে ভেজাল মেশানো হয় কিনা সেটাও যাচাই দরকার বলে জানিয়েছেন কয়েকজন। তবে এই অভিযান শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক যেন না হয় সেটাই প্রত্যশা সবার।