করোনার তৃতীয় ঢেউ বিপদে ফেলতে পারে শিশুদের। অক্টোবরের মধ্যেই ভারতে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। তবে নানা কারণে দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় কম শক্তিশালী হবে তৃতীয় ঢেউ। ভারতের ২৬ জন বিশেষজ্ঞ এমনটাই দাবি করেছেন।
৪০ জন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, বিজ্ঞানী, ভাইরোলজিস্টদের মতামত নিতে একটি সমীক্ষা চালায়। সকলের মতামত নেওয়ার পর দেখা যায়, বেশির ভাগই বলেছেন, দেশে অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর এর রেশ চলতে পারে আরো এক বছর।
ক্রমে টিকাকরণের গতি বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার ফলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো তীব্র আকার হয়ত ধারণ করবে না তৃতীয় ঢেউ, কিন্তু সংক্রমণ ঘটবে। করোনার প্রথম এবং চলমান দ্বিতীয় ধাক্কায় সামান্য সময়ের মধ্যে যেভাবে হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, তাতে তৃতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় খানিক সুবিধা পাওয়া যাবে।
টিকাকরণ ও প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তৃতীয় ঢেউয়ের তীব্রতা কিছুটা কমবে। বিশেষজ্ঞরাও সেই দিকেই ইঙ্গিত করছেন। যদিও অনেকেই শিশুদের বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বিপদই বেশি বলে মনে করছেন তারা। কারণ, শিশুরাই একমাত্র, যাদের টিকাকরণ এখনও শুরু হয়নি। বিশেষজ্ঞদের এক তৃতীয়াংশ, অর্থাৎ ৪০ জনের মধ্যে ২৬ জন বলেছেন, তৃতীয় ঢেউ এলে সমস্যায় পড়তে হবে শিশুদের। প্রখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠির মতে, বিপুল সংখ্যায় শিশুরা আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিক থেকে সত্যিই আমরা প্রস্তুত নই। শেষ মুহূর্তে এসে আমাদের সত্যিই আর কিছু করার নেই। দেশে শিশু চিকিৎসার জন্য আইসিইউ বেডের সংখ্যা খুবই কম। এর ফলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে। অবশ্য সমীক্ষায় মতামত দেয়া এক তৃতীয়াংশ বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ ১৪ জন তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বিশেষ কোনও ঝুঁকি নেই বলে অভয় দিয়েছেন, ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।