।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
জানুয়ারি মাসে সব ধরনের গ্যাসের দাম গড়ে ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বিইআরসির কাছে প্রস্তাব দেয় ছয়টি বিতরণ কোম্পানি ও একমাত্র গ্যাস সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান জিটিসিএল। এক্ষেত্রে সার ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আবাসিক পর্যায়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে চুলায় যে গ্যাস ব্যবহার হয় তার মূল্যবৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
আবাসিক খাতে ‘এক চুলা’ ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা এবং ‘দুই চুলা’ ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম আগের চেয়ে ১৪২ শতাংশ বাড়িয়ে ঘনমিটারপ্রতি ৩ টাকা ১৬ পয়সা থেকে ৭ টাকা ৬৬ পয়সা করার প্রস্তাব দিয়েছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো।
এসব প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শুরু হচ্ছে ১১ মার্চ। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ শুনানি আয়োজনের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। শুনানিতে বিভিন্ন পক্ষের যুক্তি প্রদর্শনের পর মূল্যবৃদ্ধি হবে কি হবে না সে বিষয়ে রায় দেবে কমিশন।
কিন্তু শুনানির আগেই মূল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। ২ মার্চ ২০১৯ ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স (এফইআরবি) আয়োজিত মিট দ্য এনার্জি রিপোর্টার্স শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হলেও বিদ্যুতের মুল্যে তার প্রভাব পড়বে না।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, ‘মাত্র চার মাস আগেই গ্যাসের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে না বাড়লেও তাতে সঞ্চালন ও বিতরণের দাম বাড়ানো হয়েছে। যার কিছুটা সরকার দিচ্ছে অনুদান হিসেবে আর বাকিটা আসছে জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকে। এখন আবার মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব গ্রহণ করার তাই কোনো যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। বিইআরসির কর্মকাণ্ডে আমরা ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের আলামত পাচ্ছি।