ডিএনসিসির মাস্ক পরি কর্মসূচি’ একটি জীবনরক্ষাকারী উদ্যোগ, সবাই মিলে একে সফল করতে হবে, জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
রাজধানীর উত্তরায় রাজলক্ষী শপিং কমপ্লেক্স এলাকায় ডিএনসিসির মাস্ক পরি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান করার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ কমানো এবং মানুষের জীবন বাঁচানোই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।ঢাকা মহানগরীর প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৪৯ হাজার লোক বাস করে, তাদেরকে বুঝিয়ে যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতেই এই কর্মসূচীটি গ্রহণ করা হয়েছে।কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতার মাঝে জীবনকে রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলায় গৃহীত এই কর্মসূচিকে সফল করতে হলে সকলের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের এই আয়োজনে ইনোভেশন ফর পোভার্টি অ্যাকশন (আইপিএ), ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড মেডিকেল স্কুল, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসএ্যাডভান্টেজ ওমেন, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স এন্ড ডেভলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং বিডি ক্লিন একই সাথে কাজ করছে।প্রচলিত আইন, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার কারণেই ইতোমধ্যে অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিংমল এবং কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, এই কর্মসূচির শুরু থেকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণসহ সাত দিন পর এর প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে।প্রত্যেকটি মার্কেটের সামনেই ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ কথাগুলো স্পষ্টভাবে লিখে রাখতে হবে অথবা এসংক্রান্ত ব্যানার দৃশ্যমান রাখতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নিজের পরিবার, শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখতে যথাযথভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সবাইকে সরকারী নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের এমপি নাহিদ ইজাহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।