নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এর প্রভাবে সদরঘাটে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষেরা বাস বন্ধ থাকায় নৌপথকেই যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভাড়া ৩০ শতাংশ, কোথাওবা তারও বেশি নেওয়ার অভিযোগ থাকলেও লঞ্চঘাটে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরগামী যাত্রীরা লালকুঠীঘাটে গাদাগাদি করে লঞ্চে উঠার চেষ্টা করছেন। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোতে তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই। একইসঙ্গে ঢাকা-নড়িয়া রুট ও বরিশালগামী লঞ্চগুলোতেও একই চিত্র।
এসময় লঞ্চযাত্রী কায়সার বলেন, আমি নোয়াখালী যাবো, দোকানের জন্য মাল কিনতে ঢাকায় এসেছিলাম। সবসময় বাসেই আসা-যাওয়া করি। কিন্তু হঠাৎ ধর্মঘটের কারণে চাঁদপুর হয়ে নোয়াখালী যেতে হচ্ছে।
মাদারীপুরের যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ২৫০ টাকার সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া ৫০০ টাকা দিয়ে সদরঘাট এলাম। ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়ায় আজ থেকে লঞ্চে কেবিন ভাড়া ২০০ টাকা ও ডেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা বাড়িয়েছে মাদারীপুরের লঞ্চগুলো।
রাজারহাট বি, ঢাকা-বরগুনা লঞ্চের ম্যানেজার জানান, ডেকের ভাড়া ১০০ টাকা ও ডাবল কেবিনের ভাড়া ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, লঞ্চ ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে আমাদের এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিকেলে আমরা এ বিষয়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবো। আসলে তেলের দাম বাড়ায় লঞ্চগুলোর খরচও বেড়ে যাবে। তবুও যাত্রীদের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়া হয়, দিকে আমরা খোঁজ রাখছি।