ডিজেলের দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাসের পরে বেড়েছে লঞ্চভাড়াও। ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের পর সারাদেশে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকেও ঢাকাগামী রাতের লঞ্চ ছাড়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ৩৫ থেকে ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
সন্ধ্যায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর যাত্রী আসতে শুরু করে সদরঘাটে। ঘাটে অবস্থান করছে রাতের লঞ্চগুলো। এসময় ঘাটে হকারদের ফিরতে দেখা যায়। দক্ষিণাঞ্চলগামী ঘাটে যাত্রীর চাপ বেশি। তবে একবারে এত বেশি ভাড়া বাড়ানোর কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
ভোলাগামী এক যাত্রী জানান, সেদিন হঠাৎ করে লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়ায় ঘাট থেকে ফিরে গেছি। আজ এসেই দেখি প্রায় অর্ধেক ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডেকে করে যেতেও ৩০০ টাকার জায়গায় এখন ৫০০ টাকা দাবি করছে।
বরগুনা ও বরিশালগামী কয়েজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বরিশাল ডেকে আগে ভাড়া ছিল ২৫৫ টাকা। এখন চাচ্ছে ৩৪৫ টাকা। বরগুনা যেতে আগে ভাড়া ছিল ৩০০ টাকা, এখন প্রায় ৫০০ টাকা দাবি করছে। আমাদেরকে বাধ্য হয়ে যেতেই হচ্ছে, কিছু করার নেই।
সদরঘাট ট্রাফিক পুলিশের হেড জয়নাল আবেদিন বলেন, ঘাটে আসতে শুরু করেছে লঞ্চ। রাতে লঞ্চগুলো বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যাবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও লঞ্চ ছেড়ে আসবে। কাল থেকে সারাদেশে লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি সচল হবে।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে লঞ্চ মালিক সমিতির সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, আমরা লঞ্চ চলাচল শুরু করে দিয়েছি। যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে করুক। যাত্রীরা কি আমাদের তেলের টাকা দিবে? তেলের দাম না কমলে এই ভাড়াই বলবৎ থাকবে।