জাতীয় সংসদে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা নিবন্ধন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র চালালে জরিমানার বিধান রেখে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল, ২০২১’ সংশোধিত আকারে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করতে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন ও সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করে তৈরি খসড়া আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় সংসদ।
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এ জন্য নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠারও বিধান করা হয়েছে। বিলে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা পরিচালিত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না বলে বিধান রাখা হয়।
গত ৩ এপ্রিল বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এছাড়া বিলে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন, নিবন্ধন, নিবন্ধন স্থগিত, বাতিল,শিশু সেবা মূল্য, দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা,অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়, পরিদর্শক নিয়োগ, পরিদর্শকের ক্ষমতা, প্রশাসনিক জরিমানা, মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার, বিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, শিশু বা ক্ষেত্রমতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি তিন মাসে একবার করে শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটালেম সহায়তা করলে বা তথ্য গোপন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা হবে।