‘বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর এজেন্ডা সরকারের আছে। আমি সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলব। লকডাউন সবসময় থাকবে না। এ অবস্থার অবসান হবে, আপনারা যদি সহযোগিতা করেন।’পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিআরটিসি ও বিআরটিএর ঢাকা সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি এক মতবিনিময়ে মালিক-শ্রমিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন। এসব সংগঠনের নেতারা বলেন, সব কিছু খোলা রেখে শুধু দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে রোধ করা যাবে না করোনাভাইরাসের বিস্তার। এ সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পাঁচ দফা দাবি না মানলে ঈদের দিন সারা দেশের বাস-ট্রাক টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচিসহ পরবর্তীতে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
এ সময় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী ঈদকে সামনে রেখে পরিবহণ ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চাপ বেড়ে যায়, তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে, কাজেই এবার অন্তত সবাই মিলে ত্যাগ স্বীকার করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসুন সবাই মিলে প্রাণঘাতী এই করোনাকে প্রতিরোধ করি।
বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরে আসতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বারবার লোকসানের কথা আর শুনতে চাই না।’ তিনি বিআরটিসির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।