ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ আহরণ, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমুদ্র তলদেশ কর্তৃপক্ষের (আইএসএ) কাছ সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ক্যারিবিয়ান দেশ জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টনে অবস্থিত আইএসএ-এর ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে একথা বলেন আইএসএ এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত রূপকল্প ২০৪১ এর কথা তুলে ধরেন। রূপকল্প ২০৪১ এর অগ্রযাত্রাকে আরও গতিশীল করতে সমুদ্র তলদেশের সম্পদ থেকে প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধার ন্যায়সঙ্গত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা এবং সমুদ্র তলদেশে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে সহজতর করার ওপর জোর দেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি সমুদ্র তলদেশ থেকে খনিজ অন্বেষণ করার সময় সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষার ওপরও জোর দেন। এক্ষেত্রে তিনি সামুদ্রিক পরিবেশ এবং এর সম্পদের কার্যকর ব্যবহার, সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য সম্প্রতি প্রণীত ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম জোনস আইন’ এর বিষয়টি অধিবেশনে তুলে ধরেন।
বার্ষিক এই অধিবেশন হচ্ছে আইএসএ-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অঙ্গ। কিংস্টনে ১৩ ডিসেম্বর আইএসএ-এর ২৬তম বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়েছে যা ১৫ ডিসেম্বর শেষ হবে। রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা আইএসএ-এর মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজের আমন্ত্রণে এ অধিবেশনে যোগ দেন। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে সংস্থাটির সদস্য দেশসমূহের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্থায়ী প্রতিনিধি ও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বর্তমানে আইএসএ কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।