ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ভোজ্যতেল আমদানিকারক চার প্রতিষ্ঠান জবাব দিতে সময় চেয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে। এর আগে, নিজ উদ্যোগে আমদানিকারক আটটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এই মামলার প্রেক্ষিতেই বুধবার (১৮) পূর্ব নির্ধারিত চার কোম্পানি শুনানিতে অংশ নেয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শুনানিতে সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে দেশের ভোজ্যতেল আমদানিকারক চার প্রতিষ্ঠানের জবাব চান বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা। তবে এই বিষয়ে চার কোম্পানির কেউই জবাব দেয়নি। তারা জবাবের জন্য সময় চাইলে তা মঞ্জুর করে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। পৃথক পৃথকভাবে চারটি কোম্পানির সঙ্গে শুনানিতে বসে প্রতিযোগিতা কমিশন।
জানা গেছে, চার প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন শুনানির দিন ধার্য করেছে কমিশন। সেই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী শুনানি ২২ ও ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন শুনানিতে অংশ নিবে বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা) ও মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ)। এছাড়া ২৭ জুন পর্যন্ত শুনানির জন্য সময় চেয়েছে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর) ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা)।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানায়, ১৯ মে শুনানিতে অংশ নেবে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।
আজকের শুনানিতে কোম্পানির কর্তা ব্যক্তি ও আইনজীবী অংশ নেন। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের (তীর) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেয়া আইনজীবী তফসিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার পক্ষে আমাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশে বলা হয়েছিল বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ ধারা লঙ্ঘিত হয়েছিল। তাদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা কমিশনে আসতে বলেছিল। কমিশনের নোটিশের প্রেক্ষিতে উপস্থিত হয়েছি এবং একটা দরখাস্ত দিয়েছি। কমিশন যে তদন্ত প্রতিবেদনটা করল, সেই প্রতিবেদনটা আমরা চেয়েছি। কারণ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিবেদনটা আমরা হাতে পায়নি। প্রতিবেদনটা পেলে আমরা একটা জবাব দাখিল করব। কোর্ট দরখাস্ত মঞ্জুর করেছে ফলে ২৭ জুন ২০২২ পরবর্তী শুনানি হবে। কোর্ট যে অভিযোগ এনেছে সেই বিষয়ে জবাব দেব।