ভোক্তাকন্ঠ ডেস্কঃ
সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি নতুন নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি
চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ নিয়ম মানছেন না, এ বিষয়ে এতোদিন সরকারেরও কোনো তদারকি ছিল না।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধিমালাটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির নিয়ম মানতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিবদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত বছরের ২৪ জুন চিঠি পাঠানো হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ চিঠির পর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অধীন দপ্তর-সংস্থাসহ নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাগিদ দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু সম্পদের হিসাব দিতে সাড়া নেই সরকারি চাকুরেদের।
এ প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর আওতাভুক্ত সব সরকারি কর্মকর্তা তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণী ডাটাবেজ তৈরি ও নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন/বিক্রয়ের বিষয়ে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধি প্রতিপালন পূর্বক এ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাটাবেজ থেকে যাতে সহজে বুঝা যায়, নিয়ম অনুযায়ী কোন কোন কর্মচারীকে হিসাব জমা দিতে হবে, কে জমা দিয়েছে কিংবা কে জমা দেয়নি। সহজে হিসাব জমা দেওয়ার জন্য একটি ফরমও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গত বছরের ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-৪ শাখার চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩-তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত বিধিসমূহ কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।