সুমন ইসলাম
কিছুদিন পরেই মুসলমানদের দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎসব কোরবানির ঈদ। কিন্তু জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি, সহ গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে পশুর দাম বাড়বে। কিন্তু সরকার ইচ্ছে করলেই ভোক্তা পর্যায়ে পশুর দাম ৫ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ‘সাদিক এগ্রো’ এর কর্নধার মো. ইমরান হোসেন।
তিনি জানান, কোরবানির ঈদ ঘিরে কিছু খামারী পশু বিক্রি শুরু করেছেন। অনেক পাইকাররা গ্রামগঞ্জের হাট থেকে পশু কিনছেন ঢাকা সহ বিভিন্ন বড় শহরে বিক্রির জন্য। কিন্তু সে সব হাটের ইজারা ও হাসিল বৃদ্ধি করায় প্রভাব পড়ছে পশুর দামে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিজেলের দাম বেড়েছে ফলে কোরবানির পশু পরিবহন কষ্টও বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয় যে বড় বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বেশ কয়েক মাস ধরে গো খাদ্যের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, গবাদিপশুর উৎপাদনে ৬৫ দশমিক ৭০ শতাংশ খরচই হয় খাদ্যে। এ ছাড়া শ্রমিক, ওষুধ, আনুষঙ্গিক মিলিয়ে বাকি ২৪ শতাংশ খরচ হয়। এর পরে লাভ।
তিনি বলেন, সরকার সাধারণ ক্রেতা ও ভোক্তাসাধারণের কথা চিন্তা করে এবছর বেশকিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা শহরের অস্থায়ী হাট গুলোর ইজারা ও হাসিল মওকুফ করে দিলে গবাদি পশুর দামের সরাসরি ৫ শতাংশ কমবে। যা সারাসরি ভোক্তার পাবেন।
যারা কোরবানির পশু নিয়ে বিভিন্ন অস্থায়ী হাটে যাবেন তাদের অথাৎ পশুবাহী গাড়ি সরকারি ফেরি ও ব্রীজে টোল ফ্রি করে দিতে পারে। প্রয়োজনে সরকার গাড়ি প্রতি ডিজেল ও দিতে পারে। তাহলেও কোরবানির পশুর দাম ক্রতাদের আয়ত্বে থাকবে।