লকডাউনের প্রথম দিনে পণ্য সরবরাহ সংকটের অজুহাতে রাজধানীর খুচরা বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এই দফায় চাল, ডাল, আটা, শাকসবজি, ফলমূল ও মসলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। অথচ বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের প্রথম দিনেই (সোমবার) সব ধরনের চাল খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা, সবজি প্রকারভেদে কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা, এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। কেজিতে এলাচের দাম ৫০০ টাকা, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ একাধিক মসলাজাতীয় পণ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে রাজধানীর বাজারে খাদ্যপণ্যের কোনো ধরনের সংকট দেখা যায়নি; বরং চাহিদা ও ক্রেতার তুলনায় সব ধরনের পণ্যের বেশি মজুত দেখা গেছে। রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোয়ও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনে রমজান মাস তাই এখনই দ্রুত পদক্ষেপ না-নিলে ব্যবসায়ীরা লকডাউনের অজুহাতে পণ্যের দাম আরও বাড়িয়ে ফেলবে। দাম বাড়লে তা সহজে কমে না। ফলে বাড়তি দাম পুরো রমজান মাস অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে এসব পণ্যের দাম বাড়ার তথ্য খোদ সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক পণ্যমূল্য তালিকায়ও উল্লেখ করা হয়েছে। তারা বলছে, এদিন লম্বা বেগুনের দাম ১০ টাকা, আমদানি করা আদা ২০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০ টাকা, আমদানি করা ও দেশি রসুনের দাম ১০ টাকা, মুগ ডাল ১০ টাকা ও মসুরের ডাল প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে মাছের দামও। ২২০ টাকা কেজির রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলাকালীন নিত্যপণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ, পাইকারি ও খুচরা বিক্রিতে কোনো বিধিনিষেধ রাখা হয়নি।