অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। প্রতি কেজি মুরগি যেখানে কেজি ১১০ টাকায় নেমেছিল, সেটা এখন ১৬০ টাকায় উঠেছে। হঠাৎ এমন দাম বাড়ার কারন সরবরাহ–সংকট।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। এক মাসে দাম বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
এর আগে করোনার কারনে মার্চ মাসের শেষ ও এপ্রিলের শুরুর দিকে চাহিদা অনেক কমে যায়।এর ফলে মাত্র ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে দরে এসব মুরগি বিক্রি করেছে হ্যাচারির মালিকেরা। এক দিনের বাচ্চা বিক্রি করতে না পেরে মেরে ফেলেছিলেন। এখন তৈরি হয়েছে ঘাটতি।
পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের সভাপতি মো. মহসিন জানান, খামারিরা লোকসান ও মুরগি বিক্রি করতে না পারায় নতুন বাচ্চা ওঠাতে পারেননি। সে কারণেই এখন ঘাটতি। এটা সাময়িক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে পাইকারি পর্যায়ে গরমমসলার সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করে দিয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে জিরা (ভারত) প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা, দারুচিনি (চীন) কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা, দারুচিনি (ভিয়েতনাম) কেজি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, লবঙ্গ কেজি ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা, এলাচি কেজি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা এবং গোলমরিচ (কালো) ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা দরে কেনাবেচা হবে।
মুরগির মত বাজারে গরুর মাংসের দামও বেশি। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ থেকে ৬০০ টাকায়। এদিকে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা দরে।দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে আর চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।তবে যেই আদার দাম ৩০০ টাকা কেজির বেশি ছিল,তা এখন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।