ঢাকা, ১৫ মার্চ রোববারঃ বাড়িতে বসে মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে খাবার অর্ডার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তীব্র যানজট এবং সময় স্বল্পতার কারণেই ভোক্তাদের কাছে একাধিক অ্যাপ এবং সেবা প্রদানকারী সাইট বেশ জনপ্রিয়। অনলাইনে খাবার অর্ডারের এই সেবা ভোক্তারা বেশ ইতিবাচক ভাবে নিলেও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে তাদের অভিযোগও কম নয়। প্রায়শই এ ধরনের অভিযোগ ভোক্তারা করে থাকেন যে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সময়মতো খাবার পাঠায়নি অথবা নিম্নমানের খাবার পাঠানো হয়েছে। ছবিতে যা দেখানো হয় পাঠানো প্যাকেজে তা থাকে না, এমন অভিযোগও রয়েছে। তবে এবার এসেছে ভোক্তার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
সম্প্রতি কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কর্তৃক পরিচালিত ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রের কলসেন্টারে ‘সহজ ফুড’-এর বিরুদ্ধে ভোক্তার প্রাপ্য অর্থ পরিশোধে গড়িমসির অভিযোগ এসেছে।
পল্লব হাসান নামক একজন ভোক্তা অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, তিনি এ বছরের পহেলা মার্চে সহজ ফুডের অ্যাপের মাধ্যমে বনশ্রী কাবাব এন্ড বিরিয়ানি হাউজ থেকে দুপরের খাবার অর্ডার করেছিলেন। এজন্য বিকশের মাধ্যমে অগ্রিম টাকা পরিশোধও করেন তিনি। কিন্তু সহজ ফুড ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়, এবং তার অর্ডারটি বাতিল করে দেয়।এতে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত ও ভোগান্তির শিকার হন। কিন্তু এতটুকুতেই ছাড় পাননি ভোক্তা, তাকে এখনও ভুগতে হচ্ছে।
পল্লব হাসান ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রের ফেসবুক পেইজে তথ্য-প্রমাণ পাঠিয়ে জানান যে, অর্ডার বাতিল করার পর নিয়ম অনুযায়ী তারা আমার প্রদেয় অর্থ রিফান্ড করা অর্থাৎ ফেরত দেয়ার কথা। কিন্তু সেটা ঘটেনি। এখনও আমি আমার টাকা ফেরত পাইনি। তাদের হেল্পলাইনে জানানোর পর বলা হয় যে, ৩-৫ কর্মদিবসের মধ্যে টাকা ফেরৎ দেবে, কিন্ত ৯ দিন পার হওয়া সত্ত্বেও তারা টাকা ফেরত দেয়নি। তাছাড়া অর্ডার বাতিল করার জন্য তারা কোনো দুঃখপ্রকাশ করেনি। এজন্য আমার যে ক্ষতি হয়েছে, তার প্রতিকারেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র কলসেন্টারের ব্যবস্থাপক অরুণিমা ইসলাম জানিয়েছেন,”ভোক্তার অর্থ সঙ্গে সঙ্গে ফেরত দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এটা অবশ্যই ভোক্তা স্বার্থের লঙ্ঘন। বিষয়টি নিয়ে আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি। আশা করি, রায় ভোক্তার পক্ষেই আসবে এবং সহজ ফুড ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে।”
(প্রতিবেদনঃ ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র, কলসেন্টার)