ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে ও সারাদেশে পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকিমূলক অভিযান ও আর্থিক জরিমানা।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ও পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক সারাদেশে প্রতিদিন বাজার তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও পণ্য মূল্য সহনীয় রাখতে মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী এমপি নিয়মিতভাবে অধিদপ্তরের ঢাকাসহ সারাদেশের বাজার তদারকি কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে মনিটরিং করছেন এবং বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা এর নেতৃত্বে ও পরিচালক (প্রশাসন) শামীম আল মামুনের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে আজ ৬২টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস ও সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল, ফাহমিনা আক্তার, রোজিনা সুলতানা, মাগফুর রহমান ও ইন্দ্রানী রায়। ঢাকা মহানগরীতে অধিদপ্তরের ৮ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১৯টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এছাড়াও ঢাকার বাইরের কয়েকটি বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে ৪৩ টি বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।
তদারকিকালে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিকমূল্যে পণ্য বিক্রয়সহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধের জন্য ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘পবিত্র রমজানে ও করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারাদেশে অধিদপ্তরের নিয়মিত ও বিশেষ বাজার তদারকি কার্যক্রম চলছে।
কোন অসাধু ব্যক্তি নিত্য প্রয়োজনীয়পণ্যের মূল্য ও মান নিয়ে কারসাজি করলে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে। একই সাথে যারা নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ও দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, সেই সকল সৎ ব্যবসায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান তিনি ।
এছাড়াও নিত্যপণ্যের উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের ক্রয় মূল্যের ভাউচার এবং মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে ও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়ের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।’