ভোক্তাকন্ঠ প্রতিনিধি: নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রাজধানীসহ সারা দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান। ১৯৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ১০ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ও পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক সারাদেশে প্রতিদিন এই অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার সার্বিক নির্দেশনায় ও পরিচালক (প্রশাসন) শামীম আল মামুনের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে আজ ৯২টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস ও সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা, আব্দুল জব্বার মন্ডল ,রজবী নাহার রজনী, রোজিনা সুলতানা , মাগফুর রহমান, তাহমিনা বেগম ও মাহমুদা আক্তার। ঢাকা মহানগরীতে অধিদপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ২৪টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে ৬৮ টি বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান তদারকিকালে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিকমূল্যে পণ্য বিক্রয়সহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া ৬৩টি স্থানে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রয় (ট্রাকসেল) তদারকি করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা জানান, ‘পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে রমজান শুরু হওয়ার অনেক পূর্বেই বড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, আমদানিকারক সহ পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করে তাদের করণীয় ও বর্জনীয় সম্বন্ধে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং প্রতিদিন ঢাকাসহ সারাদেশে নিয়মিত ও বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কোন অসাধু ব্যক্তি নিত্য প্রয়োজনীয়পণ্যের মূল্য ও মান নিয়ে কারসাজি করলে জিরো টলারেন্স দেখানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর সুফল জনগণ ভোগ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।’
এছাড়াও নিত্যপণ্যের উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের ক্রয় মূল্যের ভাউচার এবং মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে ও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়ের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।