নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ
শুরু হয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি।
শুনানিতে তিতাসগ্যাস কোম্পানির পক্ষ থেকে দর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে বিদ্যৎ প্রতি ঘন মিটার গ্যাসের বর্তমান দর ৪ দশমিক ৪৫ টাকা বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৬৭ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা, শিল্পে ১০ দশমিক ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা এবং সিএনজির দর ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহৎ এ বিতরণ কোম্পানিটি সার উৎপাদনে ১১৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। বর্তমানে সার উৎপাদনে প্রতি ঘন মিটার গ্যাসের দাম রয়েছে ৪ দশমিক ৪৫ টাকা। তিতাস ৯ দশমিক ৬৭ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
বুধবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যহার পরিবর্তন বিষয়ক তৃতীয় দিনের গণশুনানিকালে এসব প্রস্তাব করা হয়েছে।
শুরুতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেছেন, আপনারা বলেন অবৈধ সংযোগ রয়েছে, তিতাস কিছু করে না। কিন্তু আপনাদের স্মরণে রাখা উচিত, আমাদের লাখ লাখ অবৈধ সংযোগ রয়েছে। আমরা কাটছি, তারা আবার লাগাচ্ছে। এই যেন ইঁদুর বিড়াল খেলা চলছে, আমাদের লোকবল কম তাদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। অবৈধ সংযোগ প্রতিরোধে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। না হলে আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না।
শুনানিতে আবাসিকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনা দেওয়া হয় ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ দশমিক ৩৮ টাকা। তিতাসগ্যাস কোম্পানির ১১৭ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিপরীতে কারিগরি মূল্যয়ন টিম ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে কমিশনের নিকট।
শুনানিতে অংশনিয়ে ক্যাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ড. সামসুল আলম তিতাসগ্যাস কোম্পানি কর্তৃক গৃহীত প্রস্তাবকে সরাসরি নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, যে পরিমাণ এলএনজি আমদানি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা করা হয়নি। বরং তার অর্ধেকও আমদানি হয়নি। এসব পর্যালোচনায় তাদের আনিত দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনা উপস্থাপন করাটাই যুক্তিকতার বহির্ভূত। এটা কোনভাবেই গ্রহণ যোগ্যতা পায় না।
এসময় কারিগরি মূল্যয়ন টিম থেকে দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ, এলএনজি আমদানির পরিমাণ, আমদানিকৃত এলএনজি’র মূল্য এবং মার্কিন ডলারের বিনিময় হার পরিবর্তন বিবেচনায় ত্রৈমাসিক/ ষান্মাসিক ভিত্তিতে কমিশন কর্তৃক ভোক্তাপর্যায়ে গ্যাসের মূল্যহার সমন্বয় করা যেতে পারে বলে সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়
মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের অক্ষমতার বিষয়ে বলেন, তিতাসের অনেক বকেয়া এতে হিমশিম খাচ্ছে। আমাদের প্রতিমাসে বিল হয় প্রায় ১৫শ কোটি টাকা, চার মাসের বিল বকেয়া পড়লে পরিমাণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। বিল দিতে চান না, লাইন কাটতে গেলে মামলা দেন। এভাবে চলতে পারে না।