সিঙ্গাপুরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিতল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কিনতে মোট ২৬৭ কোটি ৫৭ লাখ ৫১ হাজার ১৭১ টাকা ব্যয় করবে সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সংস্থা পেট্রোবাংলা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৫তম সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় ক্রয় প্রস্তাবটিতে। এ ছাড়া বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৩তম সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় অনুমোদিত ৮টি ক্রয়প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ২০৫ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৪১৫ টাকা। এসব বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে এক হাজার ৮৮২ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৩০ টাকা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ তহবিল থেকে আসবে ৩২২ কোটি ৫০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫ টাকা।
সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরে সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জার্মানির বার্কি ৬৯২৫ মডেলের আগাছা মাড়াইযন্ত্র ক্রয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ৬৯৬ কোটি ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৭২৭ টাকা ব্যয়ে খুলনা মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২৪ কিলোমিটার স্যুয়ারেজ পাইপলাইন, ৩টি স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন ও ১৩ হাজার ৮০০টি সার্ভিস কানেকশন নির্মাণকাজ করবে চীনা জিইও ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
এ ছাড়া ১৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫৬ টাকায় গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্যপরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পূর্ত কাজ দেয়া হয়েছে স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে। কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় কক্সবাজার হতে উখিয়া ২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নকাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৩ হাজার ৩৬০ টাকা ব্যয়েরও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
একই প্রকল্পের উখিয়া থেকে উনচিপ্রাং ২৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৬ কোটি ৩১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯৯৮ টাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ৮০ হাজার ৭৩৪ কার্টনভর্তি ২৭ প্রকার ওষুধ ১৩৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮২০ টাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
পাশপাশি ৪৩৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৯০৮ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের এক নম্বর প্যাকেজের নির্মাণকাজ যৌথভাবে দেয়া হয়েছে সিআরইসি ও সিসিসিএল কোম্পানিকে। একই প্রকল্পের দ্বিতীয় প্যাকেজের নির্মাণ কাজে ৪৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৭৫ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।