নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিএনজি স্টেশন বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে পেট্রোবাংলার সঙ্গে স্টেশন মালিকদের বৈঠক।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পেট্রোবাংলায় সিএনজি স্টেশন মালিকদের সংগঠন সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস রেশনিং করার বিষয়ে এক সভা হয়। সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সভায় সিএনজি স্টেশন মালিকদের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার পরিবর্তে তিন ঘণ্টা বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন ।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিশ্ব বাজারে এলএনজি’র দাম বাড়ার কারণে আপাতত আমদানি কমিয়েছে বাংলাদেশ। সে কারণেই সিএনজি স্টেশনে রেশনিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।
এর আগে গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই সিএনজি স্টেশনগুলো ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানানো মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। গ্যাস সংকট কাটাতে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা স্টেশনগুলো বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়।
এই সিদ্ধান্ত আসার পর সিএনজি মালিকরা পেট্রোবাংলার সাথে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চাইলে আজকের সভার আয়োজন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নুর বলেন, আমরা পেট্রোবাংলার কথা শুনেছি। তারা গ্যাস সংকটের কথা জানিয়েছে। এলএনজি আমদানি করতে পারছে না। এই সংকট কাটাতে প্রায় ৪৫ দিনের মতো সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।
এই অবস্থায় আমরা দিনে তিন ঘন্টা অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্টেশনগুলো বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছি। তাও দুই মাসের জন্য।
এদিকে পেট্রোবাংলায় বৈঠক শেষে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) আলী মো. আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব বাজারে এলএনজি’র দাম বাড়ার কারণে আপাতত আমদানি কমিয়েছে বাংলাদেশ, সে কারণেই সিএনজি স্টেশনে রেশনিং করার সিদ্ধান্ত।