চীনের ওষুধ কোম্পানি সিনোফার্ম থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব টিকা কেনার প্রস্তাব টেবিলে উপস্থাপন করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
কমিটি প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, এসব টিকা আগের চুক্তি মূল্যের চেয়ে কম দামে কেনা হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংসহ সব ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে টিকা কেনা হচ্ছে।
কত দামে কেনা হচ্ছে বা কবে নাগাদ এসব টিকা দেশে পৌঁছাবে জানতে চাইলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, কিছু কেনাকাটা থাকে সিলেক্টিভ। রাষ্ট্রীয় স্বার্থে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর সুযোগ থাকে না। আর কবে নাগাদ দেশে টিকা পৌঁছাবে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে।
মন্ত্রিসভা কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় ঔষধাগার কর্তৃক চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম ইন্টারন্যাশনাল থেকে চুক্তিবদ্ধ দেড় কোটি ডোজের মধ্যে অবশিষ্ট এক কোটি ৩০ লাখ ডোজ এবং নতুন প্রস্তাবিত ২০ কোটি ডোজ টিকা অর্থাৎ সর্বসাকুল্যে দেড় কোটি ডোজ আগের চুক্তিপত্রে উল্লেখিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে ‘সিনোফার্ম ভ্যাকসিন সাপ্লিমেন্টাল এগ্রিমেন্ট-১’ এর আওতায় সরবরাহের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য দেড় কোটি ডোজের অতিরিক্ত টিকা প্রয়োজন হলে তাও সিনোফার্ম থেকে সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ মে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সিনোফার্ম থেকে এই দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার নীতিগত অনুমোদন দেয়। ওইদিন সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার জানান, প্রতি ডোজ টিকা ১০ ডলারে কেনা হবে। কিন্তু চীনের সঙ্গে টিকা চুক্তির শর্ত ছিল- দাম প্রকাশ করা যাবে না। দাম প্রকাশ হওয়ায় বাংলাদেশ ও চীন সরকার এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। বাংলাদেশের জন্য ধার্য করা দাম নিয়ে আপত্তি জানায় শ্রীলঙ্কা। কারণ, তারা চীনের কাছ থেকে টিকা কিনছে ১৫ ডলারে।
এছাড়া ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
সুত্র: সমকাল