নওগাঁয় শুরু হয়েছে চীনের উপহার হিসেবে পাওয়া সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ। শনিবার নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে প্রথমে নার্সিং ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের এক শিক্ষার্থীর দেহে প্রয়োগের মাধ্যমে এই টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়। এদিন ২২ জন শিক্ষার্থী ও ৮ জন স্টাফকে এ টিকা দেয়া হয়েছে।
বুধবার জেলায় ১০ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা এসে পৌঁছায়। তারপর থেকে টিকাগুলোকে সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই টিকাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যকর্মী, মেডিকেল, ম্যাটস, ডেন্টাল ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা পাবেন। প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া যাবে বলে জানায়, নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ মোর্শেদ।
তিনি বলেন, আগে অন্য কোনো করোনা টিকা নেয়া থাকলে এ টিকা দেওয়া যাবে না। নিবন্ধন ছাড়া কেউ টিকা গ্রহণ করতে পারবেন না। সরকারি, বে-সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস এবং সরকারি আইএইচটি শিক্ষার্থীরা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে স্টুডেন্ট আইডির তথ্য লিপিবদ্ধ করে টিকা নিতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের আগে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সুরক্ষা ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাপে নিবন্ধন করে নিতে হবে।
সিনোফার্মের এ টিকা ১৮বছরের নিচে কাউকে দেয়া হবে না। টিকা গ্রহণের সময় জ্বর থাকলে বা অসুস্থ থাকলে, টিকাজনিত অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে, প্রথম ডোজ গ্রহণের পর মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে তিনি এ টিকা নিতে পারবেন না। অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ঘা, অ্যাজমা, কিডনি রোগ, ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন এমন ব্যক্তি, ক্যানসারে আক্রান্ত এবং স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠীর টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ডা: আব্দুল বারি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবুল কালাম আজাদ, মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশিষ কুমারসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যন্যা কর্মকর্তারা।