আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর গুলিতে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৪০ জন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স, সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা। এছাড়া অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের চালানো গুলিতে প্রাণহানির কথা স্বীকার করেছেন সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাও।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল এবং জরুরি অবস্থা জারির পর দেশটির রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর সেনা সদস্যদের চালানো গুলিতে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে সোমবার সুদানের সামরিক বাহিনীর জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সার্বভৌম কাউন্সিল এবং সরকার ভেঙে দেন তিনি। এছাড়া সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদকসহ দেশটির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বেসামরিক কর্মকর্তাকেও আটক করা হয়।
রয়টার্স বলছে, সোমবার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারকে হটিয়ে সুদানের ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন দেশটির গণতন্ত্রকামী জনগণ। এ সময় বিক্ষোভস্থলে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এবং কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থান, জরুরি অবস্থা জারি এবং রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সোমবার রাস্তায় অবস্থান নেন সাধারণ সুদানিরা। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলিবর্ষণ শুরু করে সেনা সদস্যরা। এতেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে এই সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা স্থগিত করেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের মূল হোতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এই অভ্যুত্থানের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন।