ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় গ্যাস বিতরণের সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গঠন করা হলেও তাদের সংযোগ আশানুরূপ নয়। ১০ বছরে মাত্র হ্যায় সংযোগ দিয়েছ মাত্র ২৩৮৬টি। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বাসিন্ধারা বঞ্চিত হচ্ছে গ্যাস প্রত্যাশিরা।
সূত্র জানায়, জালালাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন ও ট্রান্সমিশন সিস্টেমের ২ লাখ ২১ হাজার ৪৫৪ বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৪ লাখ ৯১ হাজার ৫৯১ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৩ পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৯১, কর্ণফুলীর ৬ লাখ ২ হাজার ৩৩৮টি গ্রাহক রয়েছে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর লাখ-লাখ গ্রাহকের বদলে সুন্দরবনের গ্রাহক দুই হাজার ৫০০ অতিক্রম করেনি ১০ বছরে।
সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিজেদের মেলে ধরতে পারি না কথাটি ঠিক নয়। গ্যাসের স্বল্পতার কারণে আমরা গ্যাস দিতে পারছি না। ভবিষ্যতে গ্যাস পাওয়া কঠিন হবে জেনেও এই কোম্পানিটি করা হয়েছে। কেন এই ব্যয়ের বোঝা বাড়ানো হলো সে বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের নীতি নির্ধারকরাই ভালো বলতে পারবেন।
গ্যাস বিতরণ কোম্পানিটি ২১ জেলায় মাত্র পাঁচটি শিল্পে গ্যাস দিচ্ছে। দুটি বাণিজ্যিক, দুটি ক্যাপটিভ, পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২ হাজার ৩৪৬ জন নন মিটার আবাসিক এবং ২৬টি মিটার ভিত্তিক আবাসিক গ্রাহককে গ্যাস দিচ্ছে।
কোম্পানি গঠনের উদ্দেশে বলা হচ্ছে, শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে একসময় খুলনা খ্যাতি লাভ করলেও গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় প্রত্যাশা অনুযায়ী বিকশিত হতে পারেনি। উপরন্তু জ্বালানি স্বল্পতা ও উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ার ফলে শিল্পোন্নয়নের সম্ভাবনা প্রায় রুদ্ধ হয়ে পড়ে। আর এই সমস্যার কার্যকরী সমাধানে সরকার দূরদর্শী ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে দেশের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে খুলনা তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহককে গ্যাস সরবরাহের উদ্দেশে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি গঠন করা হয়।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দক্ষিণ পশ্চিমের ২১ জেলায় বিতরণের কথা থাকলেও অধিকাংশ জেলাতেই গ্যাস বিরতণ নেটওয়ার্ক নেই। গ্যাস নেটওয়ার্ক করার জন্য লাইন পাইপ কেনা হলেও তা বসানো হয়নি, যা মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে।