দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, গবেষক, প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ এর প্রয়ানে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে। বুধবার ক্যাবের তথ্য কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় এ সমবেনা জানানো হয়।
সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান এই লেখক। এখন পর্যন্ত তার ৪০টির বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে দুটি কাব্যগ্রন্থ, একটি কাব্য সংকলন।
পত্রিকায় ‘সহজিয়া কড়চা’ এবং ‘বাঘা তেঁতুল’ শিরোনামে কলাম লিখে পরিচিত পান সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি ১৯৬৪ সালে এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় কর্মজীবন শুরু করেন। পরে কিছুদিন সাপ্তাহিক জনতা’য় কাজ করেন তিনি। ১৯৭১ সালে যোগ দেন বাংলাদেশ বার্তা সংস্থায়। দীর্ঘদিন সেখানে সাংবাদিকতা শেষে চাকরি ছেড়ে দেন বাসস থেকে। এরপর সার্বক্ষণিক লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন তিনি।
সৈয়দ আবুল মকসুদ ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় কাজ নিয়মিতভাবে। তিনি কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কমিশন এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। তিনি সর্বক্ষণ ক্যাবের কার্যক্রমকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এছাড়া ক্যাবের অনলাইন পত্রিকা ভোক্তাকণ্ঠের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত।
বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার রক্ষায় তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ক্যাব তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছে। সৈয়দ আবুল মকসুদ স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।