সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ দিন থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ আভাস পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রাত সাড়ে ৯টায় তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার বলেন, সোমবার (২৮ জুন) থেকে বুধবার (৩০ জুন) পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন কার্যকর করা হবে। আর ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে ৭ জুলাই (বুধবার) পর্যন্ত মোট সাত দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনে থাকবে দেশ।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এতে বলা হয়, দেশে কোভিড-১৯ রোগের ভারতীয় ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এর প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলক অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ, ৫০টির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। এটি প্রতিরোধে খণ্ড খণ্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে। এতে আরও বলা হয়, জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
কারিগরি পরামর্শক কমিটির এ সুপারিশ আমলে নিয়ে আগামী সোমবার থেকে সীমিত পরিসরে ও বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিন সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। পরিস্থিতি বুঝে লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।
এ বিষয়ে শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, আগামী এক সপ্তাহের জন্য আমরা কঠোর বিধিনিষেধ দেব। প্রয়োজন হলে আমরা সেটি আরও বাড়াব।