২১ জুন থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ শুরু হবে। নিবন্ধন করেও যারা টিকা পাননি, তাদের মধ্য থেকে আপাতত ১২০ জনকে দেয়া হবে ফাইজারের ডোজ।
পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য সাত দিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একযোগে দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা।
৩১ মে রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে ফাইজারের টিকা দেশে পৌঁছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, ফাইজার সংরক্ষণ করতে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৯০ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেফ্রিজারেটর দরকার। ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে পাঁচ দিন। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে দুই ঘণ্টা।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিইপিআই) উদ্যোগে কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তোলা হয়েছে । এ জোটের মাধ্যমে প্রতিটি দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য বিনামূল্যে টিকার ব্যবস্থার কথা।
কোভ্যাক্স থেকে প্রথম পর্যায়ে এক কোটি ২৭ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট দেখা দেওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাওয়া শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট তৈরি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।