ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক:
দেশে করোনার করোনার সংক্রমণ ও করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন রোধে সরকারিভাবে দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হচ্ছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত সবাইকে এসব বিধিনিষেধ বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে। এর ব্যত্যয় হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ অমান্যকারীকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এমনকি মিছিল-সমাবেশ করলে প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি রয়েছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে বাধ্য করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজার আওতায় আনা হবে। পুলিশকে সতর্কভাবে কাজ করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আবারও সবকটি ইউনিটকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, মার্কেট, শপিংমল, হাটবাজার, অফিস-আদালত, গণপরিবহন কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ব্যবহার করতে আগ্রহ নেই অনেকের মধ্যে। শারীরিক দূরত্ব মেনে কেউ চলাফেরা করছে না। নির্দেশ অমান্য করে মিছিল-সমাবেশ করলে আইন প্রয়োগ করবে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, মাস্ক পরতেই হবে সবাইকে। অফিস-আদালত সর্বত্র এই নির্দেশনা মানতে হবে। সচিবালয়সহ সব বড় প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে মাস্ক ছাড়া দর্শনার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি পুলিশও এই নিয়ে কাজ করবে। যারা দেশের বাইরে থেকে এসেছেন বা আসবেন তারা যেন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকেন সেজন্য নজরদারি করতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
এদিকে গতকাল দেশে এই প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে তিনজনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত গত এক মাসে মোট ৩৩ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব বিধিনিষেধ ঠিকমতো মানলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরা যাবে। আর যদি বিধিনিষেধ ঠিকমতো মানা না হয় তাহলে লকডাউনের মতো সার্বিক বিধিনিষেধে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে সবাইকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
কভিড-১৯ সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, বিধিনিষেধ যথেষ্ট ভালো। প্রত্যেকটাই যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে প্রত্যেকটা একেক হারে সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করবে। এই ১১ দফা বিধিনিষেধ সম্মিলিতভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।