সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
চলতি বছর পবিত্র হজ উপলক্ষে শারীরিকভাবে অসুস্থ হাজীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ১৩৮ সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করেছে সরকার।
গত ২৪ মে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ চিকিৎসক দল গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। চিকিৎসক দলে ৫৮ জন চিকিৎসক, ৫০ জন নার্স ও ব্রাদার, ২১ জন ফার্মাসিস্ট এবং ৯ জন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও ওটি (অপারেশন থিয়েটার) অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন।
মক্কা ও মদিনায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে চিকিৎসক দলকে পাঠানো হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২ জুন বা কাছাকাছি সময়ে সৌদি আরবে যাবেন এবং ১৪ জুলাই বা এর কাছাকাছি সময়ে ফিরে আসবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা ৩ জুলাই বা এর কাছাকাছি সময়ে সৌদি আরবে যাবেন এবং ১৪ আগস্ট বা এর কাছাকাছি সময়ে দেশে ফিরবেন।
আদেশে বলা হয়েছে, হজ চিকিৎসক দলের সার্বিক সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রশাসনিক দলের দলনেতা। সৌদি আরবে অবস্থানকালীন হজ চিকিৎসক দলের সদস্যদের চাকরি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত থাকবে। তারা হজ চিকিৎসক দলের দলনেতা বা উপ-দলনেতার নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। হজ চিকিৎসক দলের কোনো সদস্য দায়িত্ব পালনকালে কোনোভাবেই স্বামী/স্ত্রী/সন্তান/আত্মীয়কে সঙ্গে নিতে ও রাখতে পারবেন না।
হজ চিকিৎসক দলের আদেশে যেসব সদস্যদের নামের সামনে ‘হজ করবেন না’ বলে উল্লেখ রয়েছে তারা হজের দিনগুলোতে দলনেতার নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ হজ মেডিকেল ক্লিনিক মক্কায় অবস্থান করবেন, হজ পালন থেকে বিরত থাকবেন এবং ওই সময়ে অসুস্থ হজযাত্রীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ অর্পিত সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।
‘মোবাইল মেডিকেল ভিজিল্যান্স টিম’-এ দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্যের কর্তব্যে শৈথিল্য বা অবহেলা ‘অসদাচরণ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর জন্য ওই সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সফর সরকারি সফর হিসেবে গণ্য হবে এবং বিদেশে অবস্থানকালে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীরা বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রায় নিজ নিজ কর্মস্থল হতে যথারীতি বেতন ও ভাতাদি পাবেন। তবে এ দলের কোনো সদস্যই সর্বোচ্চ ৪২ দিনের বেশি দৈনিক ভাতা পাবেন না। হজ চিকিৎসক দলের চিকিৎসক সদস্যরা নিজ নিজ এপ্রোন, বিপি মেশিন, স্টেথোস্কোপ সৌদি আরব যাওয়ার সময় অবশ্যই সঙ্গে নেবেন এবং দায়িত্ব পালনকালে সৌদি আইনানুযায়ী অবশ্যই সব সদস্যকে এপ্রোন পরতে হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।