হানা দিলো সাউথ আফ্রিকান ভারিয়েন্ট

আইসিসিডিআরবির প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সাউথ আফ্রিকান B.1.351 ভারিয়েন্টে বাংলাদেশে নতুন কোভিড ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করেছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এতটা বিস্তার আমাদের জন্যে খুবই ভয়ানক একটি বিষয়।
গতকাল আইসিসিডিআরবি একটি ছবি শেয়ার করেছে।যেখানে ভারিয়েন্ট টা কিভাবে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের সব চেয়ে ডোমিনেন্ট ভারিয়েন্ট হয়েছে টা দিয়েছে।জার্মানির প্রাইম মিনিস্টার এঞ্জেলা মারকেল তার স্টেট গুলোকে লক ডাউন কার্যকর করার জন্যে চাপ দিতে বলতেছিল এই ভারিয়েন্ট এর জন্যেই ।


এই বাংলাদেশের জন্যে অনেক ভাবনার বিষয় কারন, অক্সফোরডের এস্ট্রোজানকা টিকা , যেইটা সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে সেইটা সাউথ আফ্রিকান B.1.351 ভারিয়েন্টের বিপরীতে কম কার্যকর। এইটা কোন মতেই, বলা হচ্ছেনা, সিরামের টিকা কার্যকর নয়। বলা হচ্ছে কম কার্যকর। তার মানে ভ্যাক্সিন নেওয়ার সুযোগ থাকলে, আপনি এবং বিশেষত সিনিয়র সিটিজনেরা অবশ্যই ভ্যাক্সিন নেবেন। কিন্তু টিকা নেওয়ার পরেও বিশেষত সিনিয়র সিটিজেন এবং ইমিউন কম্প্রোমাইজড ব্যক্তিরা অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে । আমরা অনেকেই আশা করেছিলাম যে, এপ্রিল নাগাদ গরম আসলে ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসবে এবং আগামী শীতের আগে কভেক্স বা অন্যান্য ইনিশিয়েটিভের সুবাদে পপুলেশানের বড় একটা অংশ ইমিউনাইজড হয়ে যাবে। তবে এখন এই বাংলাদেশের ভ্যাক্সিন পাওয়ার যে দুইটা সোর্স, কোভেক্স এবং ইন্ডিয়া দুইটাই এস্ট্রোজানকার ভ্যাক্সিন। যেইটা এই সাউথ আফ্রিকা ভারিয়েন্টের এগেনস্টে কম কার্যকর ।

সম্প্রতি, করোনাভিউয়ার্সের নতুন ভারিয়েন্টের মধ্যে বিশেষভাবে ইউকে ভারিয়েন্টে  (বি .১.১..7),  সাউথ আফ্রিকান ভারিয়েন্টে (বি .৩.৩৫১) এবং ব্রাজিলিয়ান ভারিয়েন্টে  (পি 1 / পি 2) সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।এই ভারিয়েন্ট গুলীর নতুন জিনগত পরিবর্তন রয়েছে, যা ক্লিনিকাল প্রকাশ এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
আইসিডিডিআর, বি 6 জানুয়ারী প্রথম ইউকে ভারিয়েন্টে চিহ্নিত করেছিল; 1 জানুয়ারি থেকে 24 মার্চের মধ্যে, আইসিডিডিআর, বি'র ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে রিয়েল-টাইম পিসিআর ব্যবহার করে করোনভাইরাসটির জন্য মোট 16,265 টি নমুনাগুলি পরীক্ষা করা হয়েছিল, যার মধ্যে 2,751 (17%) ইতিবাচক ছিল।
গত বুধবার বাংলাদেশ কোভিড -১৯ এর সংখ্যায় উদ্বেগজনক বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে 62,62২6 জনকে সবচেয়ে বেশি পজিটিভ পরীক্ষা ধরা পড়েছে। আর এরি মাঝে এই ভারিয়েন্টে আরো ভাবনায় ফেলে দিয়েছে।

এখন এই পরিস্থিতিতে আমাদের আরও শক্ত হতে হবে ভয় না পেয়ে। লকডাউন ভালোভাবে মেনে যেতে হবে এবং সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এই ভাইরাস মোকাবেলা করার উপায়গুলো পালন করে যেতে হবে।