সোমবার (২৮ জুন) থেকে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। প্রথম তিন দিন কিছুটা শিথিল থাকলেও বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।
পুলিশ সরকার ঘোষিত লকডাউনকে সফল করতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বিধিনিষেধের মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে মুভমেন্ট পাস নিয়ে কড়াকড়ি ছাড়া তেমন কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। তবে এবারের লকডাউনে পুলিশ হার্ডলাইনে থাকবে ।
চলতি বছর বিভিন্ন সময়ে আরোপ করা বিধিনিষেধের সময় হার্ডলাইনে না গিয়ে জনগণকে সচেতন করার কাজ করেছে পুলিশ। বিধিনিষেধের সময় গণপরিবহন ও শপিংমল চালু রাখা এবং ঈদযাত্রা থাকায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে হার্ডলাইনে যেতে পারেনি পুলিশ। তবে মুভমেন্ট পাস ও চেক পোস্টের মাধ্যমে বিধিনিষেধকে কার্যকর করার প্রচেষ্টা ছিল পুলিশের।
আসন্ন লকডাউনে পুলিশ কীভাবে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে এ বিষয়ে বাহিনীটির উচ্চ পর্যায়ে বেশ কিছু আলোচনা ও কর্মপন্থা ঠিক হয়েছে। আগের বিধিনিষেধের মতো দেশব্যাপী বিভিন্ন চেকপোস্ট বসাবে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ রাস্তায় বের হতে না পারে তা চেকপোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করবে পুলিশ। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে তাকে ছাড় না দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রাস্তায় চেকপোস্ট ছাড়াও সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল থাকবে। এছাড়া জরুরি কাজে বের হলেও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বের হতে হবে, নাহলে পুলিশি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে জানায় পুলিশ সদরদফতর।
সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সামনে যে লকডাউন, সেখানে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে। যাতে লকডাউন কার্যকরভাবে পালিত হয় এবং ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধ হয়, মৃত্যুর সংখ্যা যাতে অনেক কমিয়ে আনতে পারি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলো অলরেডি অকুপাইড হয়ে গেছে, মানে রোগী ফিলআপ হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ঢাকা জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এবার নির্দেশনা হার্ডলাইনে থাকার। লকডাউনকে বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনে বল প্রয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। তবে হার্ডলাইনের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করার কার্যক্রমও পুলিশ চালিয়ে যাবে।