চিকিৎসক সংকটের কারণে ২৫০ শয্যার নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। এ হাসপাতালে চিকিৎসকের ৫৭টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৭ জন।
এ হাসপাতালে চিকিৎসকের ৫৭টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৭ জন। বাকি ৪০টি পদই শূন্য।
ফলে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার মানুষ। প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালে এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগী।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) এবং আবাসিক সার্জনের (আরএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ থাকলেও একটিতেও জনবল নেই।
নীলফামারী সদর উপজেলার কুন্দুপুকুর মাজার এলাকার মারুফা আক্তার জানান, হাসপাতালে এসে দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।
ডাক্তার কম, রোগী বেশি। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অমল রায় জানান, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বহু রোগী আসেন চিকিৎসার জন্য।
চিকিৎসকদের ইনডোরে রোগী দেখে তারপর বহির্বিভাগে রোগী দেখতে হয়।
ফলে বহির্বিভাগের রোগীদের অপেক্ষা করতে হয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মেজবাহুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই হাসপাতালে ৫৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও পদায়ন আছে মাত্র ১৭ জন।
কোনোভাবেই এতো কম সংখ্যক চিকিৎসক নিয়ে স্বাভাবিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবুও আন্তবিভাগ, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে নিয়মিত আমাদের সর্বোচ্চ শ্রম ও মেধা দিয়ে সেবা প্রদান করে আসছি।