অনলাইন ডেস্ক: ডায়াগনস্টিকের ভুল রিপোর্টে ভোক্তার যন্ত্রণা এবং এর প্রতিকারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের রিপোর্টে অনেক সময়ই হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন ভোক্তারা। অধিদপ্তরে অনেকেই ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসব অভিযোগ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ছোটখাট ভুলের পাশাপাশি মারাত্মক ধরনের ভুলও করে থাকেন প্রতিষ্ঠানগুলি। যার ফলাফল মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। একজনের রিপোর্ট আরেকজনের নাম দিয়ে দেয়া, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষায় ভুল করাসহ আরো নানাবিধ ডায়গনস্টিক ভুল হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর কার্যক্রমে।
সামগ্রিকভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা মহোদয় অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। একই সাথে মহাপরিচালক মহোদয় অধিদপ্তরকে ভোক্তাবান্ধব ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিণত করার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সচেতনতা মূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই আলোকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন নামিদামি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় থেকে নিয়মিত সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে যেখানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্তা ব্যক্তি সহ-ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সবাইকে ভোক্তার অধিকার ও তা সংরক্ষনের বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং একই সাথে আইন অনুযায়ী ভোক্তাদের অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ভোক্তাবান্ধব ব্যবসায়িক পরিবেশ যেন গড়ে ওঠে সেজন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
গতকাল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক( উপসচিব) জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এর তত্ত্বাবধানে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।