হিলি প্রতিনিধি:
বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়তি থাকার পর পেঁয়াজের দাম কমেছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় দাম কমে এসেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে বন্দরে পাইকারিতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০-২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দু’দিন আগেও তা ২৪-২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। এদিকে খুচরা বাজারেও মসলা জাতীয় এ পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। দাম কমায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিন্ম আয়ের মানুষ।
বন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হিলি দিয়ে ইন্দোর, নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে ইন্দোর জাতের প্রতিকেজি পেঁয়াজ (ট্রাকসেল) ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আগে তা ২৪টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পেঁয়াজ ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে তা ২৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে হিলির খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে।
ক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের বাজারের ব্যয়ভার মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর ওপর পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৬০ টাকার মতো হয়েছিল। এখন অবশ্য দাম অনেকটাই স্বাভাবিক। দু’দিন আগে যে পেয়াজ ২৫-২৬ টাকা নিয়ে গেছি, আজ সেই পেঁয়াজ কিনলাম ২০ টাকা দরে। দাম অনেকটাই কমে এসেছে। সামনে যেহেতু রমজান, সেসময় দাম এমন থাকলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, আগে চাহিদা থাকলেও বন্দর দিয়ে আমদানি কম থাকায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। এখন বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আসছে। এত দাম অনেক কমেছে। আমাদের হিলি বাজারে যেসব পেঁয়াজ বিক্রি হয় তা মূলত বন্দরের ব্যালেন্স পেঁয়াজ। এ কারণে দাম তুলনামূলক একটু কম থাকে। এছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের দামও অনেক কমেছে।
পাইকার আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকার কারণে মোকামগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। তাই আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাচ্ছি। আগে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি কমের কারণে দাম বেশি ছিল। এ কারণে আমাদের বাড়তি দামে কিনতেও অসুবিধা হচ্ছিল। তবে এখন দাম কমের দিকে রয়েছে। প্রতিকেজি ২০ টাকায় নেমে এসেছে।
এদিকে ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, পেঁয়াজের আইপির মেয়াদ চলতি মাসের মার্চ পর্যন্ত। এ কারণে আমদানি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমদানির সময়সীমা বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজের বাড়তি আমদানির ধারা অব্যাহত রয়েছে। পুর্বে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেয়াজ আমদানি হলেও এখন তা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। গতকাল সোমবার বন্দর দিয়ে ৪১টি ট্রাকে ১হাজার ১৭৫টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে। পেয়াজ কাচামাল হওয়ায় এটি সকল প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করে দ্রুত খালাসের জন্য সবধরনের ব্যবস্থা রেখেছে কতৃপক্ষ।