ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব ৩২১ কিলোমিটার। যাতায়াতে সময় লাগে ৬-৭ ঘণ্টা। দীর্ঘ এই রুটে যাতায়াত আরও সহজ করতে দ্রুতগতির ‘বুলেট ট্রেন’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ নকশা প্রণয়ন প্রকল্পের কাজও শেষ।
একই রুটে ডাবল লাইনের আরেকটি প্রকল্পের সমীক্ষাও চলমান। এতে মিলবে বাণিজ্যিক সুবিধাও। চট্টগ্রাম পর্যন্ত সময় লাগবে পৌনে দুই ঘণ্টা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সম্ভব বললেও বুলেট ট্রেন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগ নিয়ে দেখা দিয়েছে কিছুটা সংশয়।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী এ রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে ২২৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার, যার প্রায় ৯৬ শতাংশ এলিভেটেড। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে ট্রেন। এক ঘণ্টায় ঢাকা থেকে পৌঁছানো যাবে চট্টগ্রাম। বুলেট ট্রেন চালুর এ প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৯৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি রূপকথার মতো মনে হলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যয়বহুল এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকার উদ্যোগ নেবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বুলেট ট্রেনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়নেই প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের উচ্চমহলে চলছে আলোচনা। বড় এ প্রকল্পের জন্য অর্থের উৎস খোঁজা হচ্ছে।
এছাড়া একই রুটে আলাদা আরেকটি ডাবল রেললাইন স্থাপনে সমীক্ষা চলছে। এটির খরচ তুলনামূলক কিছুটা কম হবে। ওই লাইনে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াত করা যাবে পৌনে দুই ঘণ্টায়। এই লাইনে যাত্রীর পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও করা যাবে। ডুয়েল গেজ বা ডাবল লাইনের সমীক্ষা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।