বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে, বিদ্যমান অসংগতি হ্রাস ও গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে সরকার ই- ক’মার্স খাতকে সমৃদ্ধ করার জন্য কিছু নীতিমালা তৈরি করছে। যার মধ্যে, অনলাইনে অর্ডার স’ম্পন্ন হওয়ার পরে এলাকাভেদে ৭ থেকে ১০ দিনের ভিতরে পণ্য ডেলিভারি না দিলে জরিমানা দিতে হবে ই- কমার্স কোম্পানিকে।
প্রথমত এই নীতিমালা শুধু ওয়েবসাইটভিত্তিক ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর জন্য হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালিত ক্ষুদ্র ই-কমার্স উ’দ্যোগের জন্য আলাদা নীতিমালা জারি করবে। বর্তমানে ওয়েবসাইটভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পা্রয় ২০০০টি। এ ছাড়া ফেসবুক ও অন্যান্য সা’মাজিক যোগযোগ মাধ্যম ভিত্তিক ৫০ হাজার উদ্যোগ রয়েছে।
অনলাইনে অর্ডার স’ম্পন্ন হওয়ার পরে এলাকাভেদে ৭ থেকে ১০ দিনের ভিতরে পণ্য ডেলিভারি না দিলে জরিমানা দিতে হবে ই- কমার্স কোম্পানিকে। এটি করতে ব্যর্থ হলে ই- কমার্স কোম্পানিকে জরিমানার পাশাপাশি গ্রাহককে পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে। এমনকি পণ্য সরবরাহ জালিয়াতির মামলায় দো’ষী সাব্যস্ত হবে।
ক্রেতা ও বিক্রেতার অবস্থান একই জেলায় হলে সাত দিনের মধ্যে ডেলিভারি কোম্পানিকে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে হবে। ক্রেতা যদি অন্য জেলার হয় তবে কো’ম্পানি ক্রেতার ঠিকানায় পণ্যটি পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ ১০ দিন সময় পাবে। এ সময়ের বেশি হলে জরিমানা গুনতে হবে এবং গ্রাহকের আগে পরিশোধ করা টাকা ফেরত দিতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জালিয়াতি ও দেরিতে পণ্য ডেলিভারি রোধে এসব শর্ত যুক্ত করে ই-ক’মার্স নীতিমালা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে। এ জাতীয় অনেক নির্দেশিকাসহ, ই-কমার্সকে আরও সহজলভ্য করতে একটি নীতি সমৃদ্ধ ব্যবসায়ীক মডেল প্রণয়ন করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ই-কমার্স নী’তিমালার একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে। নীতিমালা চূড়ান্ত করার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ও ই-কমার্স খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শি’গগিরই বৈঠকে বসবে বলে জানা যায়।