ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ত
সামিটের এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের সংস্কারের জন্য গ্যাসের ঘাটতি সৃষ্টির শঙ্কা করছে জ্বালানি বিভাগ। পেট্রোবাংলা ও তিতাস প্রায় ১০ দিন গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে বলে জানিয়েছে। বলা হচ্ছে, ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকবে। আবাসিক ছাড়াও সিএনজি, শিল্প ও বাণিজ্যেও এই ঘাটতি হতে পারে।
তিতাস বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘কারিগরি কারণে আগামী ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করতে পারে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
সূত্র বলছে, শেভরন বাংলাদেশ পরিচালিত গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা সংস্কারে গেছে। এতে প্রতিদিন অন্তত ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হতে পারবে না। এছাড়া সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ঘাটতি রয়েছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এতে দৈনিক গ্যাস ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বুধবার (১২ জানুয়ারি) জানান, আমরা মনে করেছিলাম, বুধবার থেকে সংকট শুরু হবে। কিন্তু বিষয়টি সেভাবে টের পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাস ঘাটতি হতে পারে। তবে এর মধ্যে কয়েকটি কূপের ওয়ার্কওভার শেষ হওয়ার কথা। এটি হয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি জানান, বিবিয়ানার কারণে ৫০ এবং সামিটের এলএনজি টার্মিনালের কারণে আরও ৪৫০ অর্থাৎ সবে মিলিয়ে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের ঘাটতি হবে।
গত ১৮ নভেম্বর সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মুরিং ছিঁড়ে যায়। এতে টার্মিনালটিতে কোনও এলএনজিবাহী কার্গো ভিড়তে পারছে না।