২৪ মার্চ বেলা ১১টা থেকে ১০ মিনিট তিস্তা নিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পানিবণ্টন চুক্তিসহ ছয় দফা দাবি আদায়ে স্তব্ধ ছিল তিস্তার ২৩০ কিলোমিটার এলাকা। ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’ এই স্তব্ধ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বাংলাদেশে তিস্তা নদীর প্রবেশ মুখ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই জিরো পয়েন্ট থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর ঘাট পর্যন্ত ২৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১০ মিনিটের স্তব্ধ কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মানুষের হাতে ছিল বাংলাদেশের পতাকা। এতে তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ সর্বস্থরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। স্তব্ধ হয়ে থাকার ১০ মিনিট পর ছয় দফা দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নেতারা।
তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন। আমরা চাই তার এ ঐতিহাসিক সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন হোক। এ মাহেন্দ্রক্ষণে উদ্বোধন করতে হবে তিস্তা নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার বিষয়ক মহাপরিকল্পনার কাজ। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি অভিন্ন পানি চুক্তি ও অবিলম্বে নদী খনন করতে হবে। অন্যথায় তিস্তাকে রক্ষা করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ নভেম্বর তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ তিস্তার দুই তীরের ২৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। গত ১৯ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত তিস্তাসহ দেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে তিস্তা অভিমুখে রোড মার্চ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা চুক্তি সই ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।