ভোক্তাকন্ঠ ডেস্ক: অমর একুশে গ্রন্থমেলা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। মাসব্যাপী এ মেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এবার গ্রন্থমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থেকে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
প্রতিবছরের মতো বইমেলা উপলক্ষে এবারও নানা কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে বইমেলায় ক্রেতা ও দশনার্থী আসতে পারেন সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবারের মেলায়। এছাড়া এবার প্রথমবারের মতো প্রকাশকদের কিস্তিতে স্টলের ভাড়া পরিশোধ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
বই মেলার সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল উদ্দিন আহমদ বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস অতিমারির পাশাপাশি ওমিক্রনের আক্রমণের কারণে যাতে বইমেলা বন্ধ ঘোষণা না করতে হয় সেজন্য সবধরনের আগাম প্রস্তুতি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একাডেমির পরিচালক জালাল বলেন, গ্রন্থমেলা নিয়ে গ্রন্থপ্রেমী মানুষের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে মানুষ বাসায় ঘরবন্দি থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে। তারা সুযোগ পেলেই বাইরে আসছে। সুতরাং বইমেলা, শুরু হলে জনসাধারণের প্রাণের স্পন্দন ও পদচারণায় মুখর হবে বইমেলা প্রাঙ্গণ। বাংলা একাডেমিও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে বইমেলায় ক্রেতা ও পাঠকরা আসতে পারেন সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলা একাডেমির বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ওসমান গণি বলেন, গেলবার করোনাভাইরাসের কারণে বইমেলা সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়নি। প্রকাশকরা সারা বছর নানা ধরনের বই প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু আশানুরূপ বই বিক্রি হয় না। এ নিয়ে বিক্রেতাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
স্বনামধন্য এ প্রকাশক আরও বলেন, প্রকাশকদের সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনার জন্য কয়েক দফা বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকাশকদের জন্য সরকারিভাবে কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।