অনলাইন ডেস্ক: করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আইএমএফের প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ২০২০, দ্য গ্রেট লকডাউন’ এসব পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের ২০২০ সালে কত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে, সেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ২০২১ সালে তা আবার বেড়ে সাড়ে ৯ শতাংশে পৌছাবে।
৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য–উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে আইএমএফ জিডিপির এসব পূর্বাভাস দিয়েছে।
আইএমএফ বলছে, ‘করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে। এ কারণে করোনার ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আইসোলেশন, লকডাউন করতে হচ্ছে, যা বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যদি চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এবং অর্থনীতির গতি স্বাভাবিক হয়, তবে আগামী বছর প্রবৃদ্ধি বাড়বে।’
আইএমএফের আরো জানায়, চলতি অর্থবছরে সারা বিশ্বের গড় জিডিপি আগের বছরের চেয়ে কমে যাবে। আর যদি অর্থনীতি স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে ২০২১ সালে জিডিপি হবে ৫.৮ শতাংশ
আইএমএফের পূর্বাভাস অনিযায়ী ২০২০ সালে যুক্তরাষ্টের -৫.৯ শতাংশ, জার্মানির -৭ শতাংশ, জাপানের -৫.২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের – ৬.৫ শতাংশ, চীনের ১ চীনের ১ শতাংশ ও ভারতের ১.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
আইএমএফ ছাড়াও বিশ্বের বড় বড় দাতা সংস্থাগুলোও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২ থেকে ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে।আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে বাংলাদেশের জিডিপির দশমিক ২ শতাংশ থেকে দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে।